সরাসরি অর্ডার করতে কল করুন - ০১৯৯১-১৬৬৫৫০/০১৫১৮-৩৩৭৮৫০
/storage/photos/1/Blog/mango3.jpg

ইউরোপে যাবে সাতক্ষীরার আম

ফ্রান্স-ইংল্যান্ড যাবে সাতক্ষীরার আম, ২২৫ কোটি টাকা বিক্রির আশা

জানা যায়, গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে আমচাষিদের যথেষ্ট পরিমাণে লোকসান গুণতে হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আমের ফলন ভালো হয়েছে। এর ফলে গত কয়েকবারের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছেন আমচাষিরা। সাতক্ষীরার বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা, সিঁদুররাঙা, ফজলি, কাঁচামিঠা, বোম্বাই, লতাবোম্বাই প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যেখানে উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে সাতক্ষীরার আম। এতে সব মিলিয়ে বিক্রি হবে প্রায় ২২৫ কোটি টাকার আম। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ জন চাষি রয়েছেন।

তালার তেঁতুলিয়া এলাকার আমচাষি নজরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর ফলন ভালো হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। তবে এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। বাজার মূল্য সঠিক পেলে এবার তুলনামূলক অনেক লাভ হবে। একই কথা জানান, সদরের ব্রম্মরাজপুরের আমচাষি আব্দুল হাকিম। আম ব্যবসায়ী ঈদ্রিস আলী জানান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম বাজারজাতকরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ও তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক আম কেমিক্যাল দিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করছেন। প্রশাসনের নজরদারিতে কিছু ধরাও পড়ছে। অপরিপক্ক আম বাজারজাত করা রোধ করতে না পারলে প্রকৃত আমচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহরের আমচাষি মোখলেস জানান, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে প্রকৃত আমচাষিদের সুনাম নষ্ট হয়। যেহেতু এ জেলার আমের সুনাম সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত রয়েছে, সেক্ষেত্রে সুনাম ধরে রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তৎপর থাকতে হবে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক আমের বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমের মুকুল হয়েছিল। আমের গুটি ধরেছিল অনেক। সে তুলনায় আমের গুটি ঝরেছে কম। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আম উৎপাদন হবে। ৫০ টাকা কেজি দরে দাম ধরলে ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে। তাছাড়া এ বছরও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি করা হবে।’

এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতের আমের বাজারজাতকরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোপালখাসসহ অন্যান্য স্থানীয় আম পাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্রপালি পাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোর্সঃ দৈনিক ইত্তেফাক

You need to Login OR Register for comment.

Comments (0)